
স্পোর্টস ডেস্ক
সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫
দেশের ক্রিকেটে বাজে সময় যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর কুড়ি ওভারের সিরিজেও একই পথে যেন হাঁটছিল বাংলাদেশ। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে লিটন দাসরা। এই জয়ে ৬ ম্যাচের হারের বৃত্ত ভাঙলো বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ, পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচ এবং শ্রীলঙ্কায় প্রথম ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেলো তারা।
ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দারুণ ক্রিকেট খেলে ডাম্বুলাতে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে বড় অবদান লিটনের। দীর্ঘদিন ধরেই ছন্দে ছিলেন না তিনি। ব্যাট হাতে সংগ্রাম, নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন- সব মিলিয়ে চাপের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তবে আজ ৭৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ম্যাচসেরা হন। যদিও জয়ের কৃতিত্ব নিজে নিচ্ছেন না। বাংলাদেশের ১৭৭ রানের সংগ্রহে শামীম হোসেনের ২৭ বলে ৪৮ রানের ক্যামিও ইনিংসের কথা মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
৮৩ রানে জয়ের পর পুরষ্কার বিতরণী মঞ্চে লিটন বলেছেন, ‘অনেক দিন ধরে ভালো খেলার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু হচ্ছিলো না। এই ম্যাচটা জেতানোর কৃতিত্ব শামীমের। ও যেভাবে ব্যাট করেছে, সেটা অসাধারণ ছিল।’ডাম্বুলার উইকেট নিয়ে বলতে গিয়ে লিটন বলেছেন, ‘উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। তবে শুরুতে সময় নিতে হতো, পরে সেট হলে শট খেলা যেতো।’
ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কাকে ১৭৮ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর বল হাতে দাপট দেখান বাংলাদেশে বোলাররা। এক্ষেত্রে রিশাদ হোসেনকে কৃতিত্ব দিতে ভোলোননি। আর কুশল মেন্ডিসকে শুরুতেই শামীমের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট গুরুত্বপূর্ণ ছিল বললেন লিটন, ‘রিশাদ আমাদের দলের বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। ও (রিশাদ) ভালো বল করলে আমরা ম্যাচে থাকি। শামীম যেভাবে কুশল মেন্ডিসকে রানআউট করলো, সেই মুহূর্তটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে দারুণ ছন্দে আছে। পাশাপাশি শরিফুল দারুণ বোলিং করেছে।
আমাদের ঠিকানা।