, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

বাংলাদেশের মানুষ শঙ্কিত নয়, উদ্বিগ্ন:আব্দুল্লাহ তাহের।

  • প্রকাশের সময় : ১২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • ১২ পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক।

শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫

ডা. তাহের বলেন, আমাদের মনে হয়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেই দুর্বল ও অসহায়। যার বাস্তবতা রাষ্ট্রের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ফুটে উঠেছে। মিটফোর্ডের ঘটনা থেকেই গোপালগঞ্জের ঘটনার সাহস দেখিয়েছে পতিত আওয়ামী লীগের দোসররা। আমরা অনতিবিলম্বে ‘মিস্টার অসহায়’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রত্যাহার করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তরের যৌথ আয়োজনে ‘গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল’ পূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যখন জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ হতে যাচ্ছে- ঠিক এই মুহূর্তে এনসিপির পদযাত্রায় গোপালগঞ্জের হামলা একটি অশনি সংকেত।

তিনি আরও বলেন, যেখানে এনসিপি সমাবেশ করার আগে প্রশাসনকে লিখিতভাকে জানিয়েছে। সেখানে প্রশাসন কী ভূমিকা রেখেছে?- গণমাধ্যমে দেখা গেছে যখন সমাবেশের মঞ্চ ভাংচুর করা হয়, তখন সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য উপস্থিত ছিলো না।

প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জাতি কী এখনো ফ্যাসিবাদের জামানায় রয়েছে কিনা? কারণ ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী দলমতের লোকদের কোন সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। সেই একই কায়দায় এনসিপির সমাবেশ পন্ড করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।

তিনি আরও বলেন, জাতি আজ দুই দিকে দুই ভাগ হয়ে গেছে। একদিকে গণতন্ত্রকামী, শান্তিকামী, দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা, অপরদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের সঙ্গি চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ধর্ষক, নৈরাজ্যকারী গোষ্ঠী। জনগণ এদের প্রতিহত করবেই, করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের জনগণের জান ও মালের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। গোপালগঞ্জের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা এটিএম মাছুম বলেন, গোপালগঞ্জে সংঘটিত ন্যক্কারজনক ঘটনা মেনে নেওয়া যায়। এই ঘটনায় জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি প্রশাসনে থাকা আওয়ামী দোসরদেরও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৫ আগস্ট যেই ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে সেই ঐক্যে ফাটল দেখা যাচ্ছে। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অংশীজনদের জাতীয় স্বার্থে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান।

আমাদের ঠিকানা।

জনপ্রিয়

বিরামপুরে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি গ্রেফতার।

বাংলাদেশের মানুষ শঙ্কিত নয়, উদ্বিগ্ন:আব্দুল্লাহ তাহের।

প্রকাশের সময় : ১২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।

শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫

ডা. তাহের বলেন, আমাদের মনে হয়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেই দুর্বল ও অসহায়। যার বাস্তবতা রাষ্ট্রের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ফুটে উঠেছে। মিটফোর্ডের ঘটনা থেকেই গোপালগঞ্জের ঘটনার সাহস দেখিয়েছে পতিত আওয়ামী লীগের দোসররা। আমরা অনতিবিলম্বে ‘মিস্টার অসহায়’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রত্যাহার করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তরের যৌথ আয়োজনে ‘গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল’ পূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, যখন জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ হতে যাচ্ছে- ঠিক এই মুহূর্তে এনসিপির পদযাত্রায় গোপালগঞ্জের হামলা একটি অশনি সংকেত।

তিনি আরও বলেন, যেখানে এনসিপি সমাবেশ করার আগে প্রশাসনকে লিখিতভাকে জানিয়েছে। সেখানে প্রশাসন কী ভূমিকা রেখেছে?- গণমাধ্যমে দেখা গেছে যখন সমাবেশের মঞ্চ ভাংচুর করা হয়, তখন সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য উপস্থিত ছিলো না।

প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জাতি কী এখনো ফ্যাসিবাদের জামানায় রয়েছে কিনা? কারণ ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী দলমতের লোকদের কোন সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। সেই একই কায়দায় এনসিপির সমাবেশ পন্ড করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।

তিনি আরও বলেন, জাতি আজ দুই দিকে দুই ভাগ হয়ে গেছে। একদিকে গণতন্ত্রকামী, শান্তিকামী, দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা, অপরদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের সঙ্গি চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ধর্ষক, নৈরাজ্যকারী গোষ্ঠী। জনগণ এদের প্রতিহত করবেই, করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের জনগণের জান ও মালের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। গোপালগঞ্জের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা এটিএম মাছুম বলেন, গোপালগঞ্জে সংঘটিত ন্যক্কারজনক ঘটনা মেনে নেওয়া যায়। এই ঘটনায় জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি প্রশাসনে থাকা আওয়ামী দোসরদেরও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৫ আগস্ট যেই ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে সেই ঐক্যে ফাটল দেখা যাচ্ছে। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অংশীজনদের জাতীয় স্বার্থে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান।

আমাদের ঠিকানা।