, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারের প্রতিবাদে’ আয়োজিত সমাবেশে।

  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • ১১ পড়া হয়েছে

 

সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারের প্রতিবাদে’ আয়োজিত সমাবেশ তিনি এ কথা জানান।আজ সোমবার (১৪ জুলাই) নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তারেক রহমান কেন দেশে আসেন না। এ নিয়ে বিতর্কও হচ্ছে। মির্জা আব্বাস বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, উনি (তারেক রহমান) দেশে আসবেন। কেউ উনাকে আসতে বাধা দিতে পারবে না। তবে আজকের এই অবস্থায় বিভিন্ন জনের কথার কারণে আমার মনে হচ্ছে তারেক রহমানের জীবন এখন ঝুঁকির মধ্যে আছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জনের কাজকর্মে মনে হচ্ছে তারা তারেক রহমানকে সহ্য করতে পারছেন না। আপনারা সহ্য করতে পারেন বা না পারেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে বিএনপি ছাড়া বাংলাদেশ কখনো কারো হাতে নিরাপদ নয়।

তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশ স্বাধীন করার ভূমিকা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অবদানের কথাও উল্লেখ করেন।

সম্প্রতি মিটফোর্ডে ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত’ বলেও আখ্যায়িত করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, একজন ক্যামেরাম্যান এই ঘটনাটির ছবি তুলেছে। কোনো নড়াচড়া নাই, কোনো কাঁপুনি নাই। খেয়াল করে দেখবেন ভিডিওটি একেবারে মনে হয় তৈরি করা একটা ভিডিও। অর্থাৎ এই ঘটনাটি ঘটবে, ভিডিও করবে, দেশের সামনে তুলে ধরবে।বিএনপির কোনো সম্পর্ক নাই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা একটি ছবি দেখানোর চ্যালেঞ্জ করেন, যেখানে মিটফোর্ডের ঘটনায় মাহিম নামে এক ছেলের সঙ্গে এনসিপি নেতৃবৃন্দের ছবি আছে। কিন্তু এর দায় বিএনপিকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আব্বাস বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসবে ভেবেই আমাদের বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এ সময় চরমোনাই পীরের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পীর সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে তার কোনো ইলম (জ্ঞান) নেই, অর্থাৎ লেখাপড়া করেননি, দাওরা পড়েননি, হাদিস পড়েননি, কোরআন পড়েননি।

মির্জা আব্বাস প্রশ্ন তোলেন, হেফাজতের ঘটনার সময় এই চরমোনাইয়ের পীর সাহেব কোথায় ছিলেন? উনি কি মুসলমানদের পক্ষে কিংবা তাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন? দাঁড়ান নাই। কে দাঁড়িয়েছে? বিএনপি দাঁড়িয়েছিল সেইদিন।

তারেক রহমানের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, তার সম্পর্কে একজন বলেছেন তারেক রহমানের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। আরে ভাই, তারেক রহমানের কোমর ভাঙছে এই দেশের জন্য। আর আপনাদের একটা লোমও ছেঁড়া যায় নাই। ওই তারেক রহমান এখন আপনাদের হিংসার কারণ।সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টন নাইটিংগেল মোড় হয়ে বিজয় নগর দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

আমাদের ঠিকানা

জনপ্রিয়

বিরামপুরে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি গ্রেফতার।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারের প্রতিবাদে’ আয়োজিত সমাবেশে।

প্রকাশের সময় : ০৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারের প্রতিবাদে’ আয়োজিত সমাবেশ তিনি এ কথা জানান।আজ সোমবার (১৪ জুলাই) নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তারেক রহমান কেন দেশে আসেন না। এ নিয়ে বিতর্কও হচ্ছে। মির্জা আব্বাস বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, উনি (তারেক রহমান) দেশে আসবেন। কেউ উনাকে আসতে বাধা দিতে পারবে না। তবে আজকের এই অবস্থায় বিভিন্ন জনের কথার কারণে আমার মনে হচ্ছে তারেক রহমানের জীবন এখন ঝুঁকির মধ্যে আছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জনের কাজকর্মে মনে হচ্ছে তারা তারেক রহমানকে সহ্য করতে পারছেন না। আপনারা সহ্য করতে পারেন বা না পারেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে বিএনপি ছাড়া বাংলাদেশ কখনো কারো হাতে নিরাপদ নয়।

তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশ স্বাধীন করার ভূমিকা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অবদানের কথাও উল্লেখ করেন।

সম্প্রতি মিটফোর্ডে ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত’ বলেও আখ্যায়িত করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, একজন ক্যামেরাম্যান এই ঘটনাটির ছবি তুলেছে। কোনো নড়াচড়া নাই, কোনো কাঁপুনি নাই। খেয়াল করে দেখবেন ভিডিওটি একেবারে মনে হয় তৈরি করা একটা ভিডিও। অর্থাৎ এই ঘটনাটি ঘটবে, ভিডিও করবে, দেশের সামনে তুলে ধরবে।বিএনপির কোনো সম্পর্ক নাই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা একটি ছবি দেখানোর চ্যালেঞ্জ করেন, যেখানে মিটফোর্ডের ঘটনায় মাহিম নামে এক ছেলের সঙ্গে এনসিপি নেতৃবৃন্দের ছবি আছে। কিন্তু এর দায় বিএনপিকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আব্বাস বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসবে ভেবেই আমাদের বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এ সময় চরমোনাই পীরের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পীর সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে তার কোনো ইলম (জ্ঞান) নেই, অর্থাৎ লেখাপড়া করেননি, দাওরা পড়েননি, হাদিস পড়েননি, কোরআন পড়েননি।

মির্জা আব্বাস প্রশ্ন তোলেন, হেফাজতের ঘটনার সময় এই চরমোনাইয়ের পীর সাহেব কোথায় ছিলেন? উনি কি মুসলমানদের পক্ষে কিংবা তাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন? দাঁড়ান নাই। কে দাঁড়িয়েছে? বিএনপি দাঁড়িয়েছিল সেইদিন।

তারেক রহমানের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, তার সম্পর্কে একজন বলেছেন তারেক রহমানের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। আরে ভাই, তারেক রহমানের কোমর ভাঙছে এই দেশের জন্য। আর আপনাদের একটা লোমও ছেঁড়া যায় নাই। ওই তারেক রহমান এখন আপনাদের হিংসার কারণ।সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টন নাইটিংগেল মোড় হয়ে বিজয় নগর দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

আমাদের ঠিকানা