, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কার্কি।

  • প্রকাশের সময় : ১২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪ পড়া হয়েছে

আন্তজার্তিক ডেস্ক।

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হয়েছেন সুশীলা কার্কি। তিনি কেপি শর্মা অলির স্থলাভিষিক্ত হলেন। এর মধ্য দিয়ে নেপালে রাজনৈতিক অচলাবস্থার আপাত অবসান হলো।  গতকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপালের প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। সুশীলা কার্কি দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি নেপাল ও ভারতে পড়াশোনা করেছেন।

নেপালি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ও জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর কার্কির ব্যাপারে সবাই সম্মতি দেন। স্থানীয় সময় অনুযায়ী আজ রাতেই তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের পর বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তরুণদের একটি অংশ তার নাম প্রস্তাব করে। বিক্ষোভ ও সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছে। দীর্ঘ অর্থনৈতিক সংকট ও তরুণদের বেকারত্বই এই সংকটের মূল কারণ। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, নেপালে ১৫-২৪ বছর বয়সী প্রতি পাঁচজনের একজন বেকার, আর মাথাপিছু আয় মাত্র ১,৪৪৭ ডলার।

আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে, বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রকৃত কারণ হলো দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং রাজনৈতিক বৈষম্য। সাধারণ নেপালিরা যখন বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতিতে জর্জরিত, তখন প্রভাবশালী নেতাদের সন্তানদের বিলাসী জীবনযাত্রা জনগণের ক্ষোভ আরও উসকে দিয়েছে।
আমাদের ঠিকানা। 

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের উড়ন্ত।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কার্কি।

প্রকাশের সময় : ১২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আন্তজার্তিক ডেস্ক।

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হয়েছেন সুশীলা কার্কি। তিনি কেপি শর্মা অলির স্থলাভিষিক্ত হলেন। এর মধ্য দিয়ে নেপালে রাজনৈতিক অচলাবস্থার আপাত অবসান হলো।  গতকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপালের প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। সুশীলা কার্কি দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি নেপাল ও ভারতে পড়াশোনা করেছেন।

নেপালি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ও জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর কার্কির ব্যাপারে সবাই সম্মতি দেন। স্থানীয় সময় অনুযায়ী আজ রাতেই তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের পর বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তরুণদের একটি অংশ তার নাম প্রস্তাব করে। বিক্ষোভ ও সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছে। দীর্ঘ অর্থনৈতিক সংকট ও তরুণদের বেকারত্বই এই সংকটের মূল কারণ। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, নেপালে ১৫-২৪ বছর বয়সী প্রতি পাঁচজনের একজন বেকার, আর মাথাপিছু আয় মাত্র ১,৪৪৭ ডলার।

আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে, বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রকৃত কারণ হলো দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং রাজনৈতিক বৈষম্য। সাধারণ নেপালিরা যখন বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতিতে জর্জরিত, তখন প্রভাবশালী নেতাদের সন্তানদের বিলাসী জীবনযাত্রা জনগণের ক্ষোভ আরও উসকে দিয়েছে।
আমাদের ঠিকানা।