
ইরানওয়্যার জানায়, চলতি সপ্তাহে ওই নারীকে আদালতে হাজির করা হয়। ইরানের রেভ্যুলেশনারি কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ওই নারীর বিরুদ্ধে অর্থ-সম্পদ লুট করতে ১১টি পরিকল্পিত হত্যার পাশাপাশি একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন।
ইসলামিক রিপাবলিকটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এ সিরিয়াল হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত কুলসুম আকবরিকে ‘ব্ল্যাক উইডো’ বলে আখ্যা দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।ইরানওয়্যার জানায়, কুলসুম ২০০০ সালে প্রথম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন এবং তিনি বয়স্ক পুরুষদের বিয়ে করে ডায়াবেটিসের ওষুধ, উত্তেজক, অ্যালকোহলের মিশ্রণ দিয়ে স্লো পয়জনিং করে ধারাবাহিকভাবে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাতেন।
রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে জানায়, ‘অভিযুক্ত নারী হত্যার প্রমাণ লোপাট করতে দক্ষ ছিলেন। হত্যার শিকার অধিকাংশ ব্যক্তি বয়স্ক ও অসুস্থ থাকায় তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। এ কারণে তিনি দীর্ঘ সময় সন্দেহের বাইরে ছিলেন।’
সর্বশেষ ২০২৩ সালে আজিজুল্লাহ বাবাইয়ের মৃত্যুর পর তার ছেলের সন্দেহ হয়, তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে তদন্তের এক পর্যায়ে আকবরি গ্রেফতার হন।
গত বুধবার শুনান ৪ জনের পরিবারের সদস্যরা আকবরিকে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। মামলায় বাদী হিসেবে ৪৫ জনের বেশি ব্যক্তি পক্ষভুক্ত হয়েছেন। তাদের প্রত্যাশা, শুনানি শেষে শিগগির রায় ঘোষণা হবে।
আমাদের ঠিকানা।