
ধানের নামেই চাল বিক্রি করতে হবে: ভোক্তার ডিজি
নিজস্ব প্রতিবেদক।
মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভোক্তা অধিদফত। এ সময়ের মধ্যে তা কার্যকর না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মো, আলীম আখতার খান।
এর আগে রবিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
ভোক্তার ডিজি বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে ধানের প্রকৃত নামেই চাল বাজারজাত করতে হবে। এটা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা। ধান না থাকলেও মিনিকেট নামে চাল বিক্রি হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান প্যাকেটের গায়ে মিনিকেট লিখেন। এটা অপরাধ। আপনারা সরকারি নীতিমালা মানছেন না।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, প্রতিটি জেলায় ডিসিদের অননুমোদিত চাল সরবরাহ ঠেকাতে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মিনিকেট নামে কোনও ধানের জাত নেই। বিআর-২৮, বিআর-২৯ বা জিরাশাইল ধান থেকে পাওয়া চালের বস্তার গায়ে মিনিকেট লিখে বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হয়। তাই খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪ সালে মিনিকেট নামে কোনও চাল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পরিপত্র জারি করে।
এর আগে ২০২৩ সালের ১১ জুলাই তৎকালীন সরকার একটি বিধিমালা প্রণয়ন করে। এই আইনে চালের বস্তার গায়ে মিনিকেটের মতো ভিন্ন নাম লিখলে—দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দণ্ডের বিধান রাখা হয়। কোনও ব্যক্তিকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, বিপণন বা এ সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রতিপালনের কথা বিধিমালায় বলা হয়।
এতে বলা হয়, কোনও অনুমোদিত জাতের খাদ্যদ্রব্য থেকে উপজাত হিসাবে প্রাপ্ত খাদ্যদ্রব্যকে ওই জাতের উপজাত হিসাবে নামকরণ (যেমন, বিআর-২৮ ধান থেকে মিলিংয়ের পর প্রাপ্ত চালের নাম বিআর-২৮ চাল) করতে হবে এবং অন্য কোনও নামে (যেমন মিনিকেট, কাজললতা, আশালতা, রাধুনী বা এইরূপ অন্য কোনও নাম) নামকরণ করে বাজারজাত করা যাবে না।
আমাদের ঠিকানা নিউজ।