প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ৯, ২০২৫, ৯:৫৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ৪, ২০২৫, ৯:৫৪ পি.এম
বিগত ১৬ বছরের অন্যায়, জুলুম ও নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মোট ১৫৪ জনকে শাস্তির সিদ্ধান্ত।
নিউজ ডেস্ক।
বিগত ১৬ বছরের অন্যায়, জুলুম ও নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মোট ১৫৪ জনকে শাস্তির সিদ্ধান্ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রশাসন।আজ সোমবার বিচারের জন্য গঠিত গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্ট এ তথ্য প্রকাশিত হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. মো হেলাল উদ্দীন।এর আগে গত ১৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৩২৮ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সূত্রে জানা যায়, গতবছর ৪ আগস্ট ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ স্লোগানে শান্তি মিছিলে যোগদান এবং গণ অভ্যুত্থান চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর জুলুম ও নির্যাতনের অভিযোগ এবং বিগত ১৬ বিছরে বাকৃবিতে বিচার না হওয়া অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে এই শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শাস্তির মধ্যে অন্যতম বাকৃবির ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সনদ বাতিল করা হয়েছে।
২০২২ সালে ২৩ ডিসেম্বর আশরাফুল হক হলে বিকাল ৫ টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চারজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল ও শিবির ট্যাগ দিয়ে অমানবিক শারীরিক নির্যাতনকারী ১৮ জনকে শিক্ষার্থী, ২জন শিক্ষক ও ১ জন কর্মচারীকে শাস্তি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার এবং ১৫ জনের সনদপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১ জন শিক্ষককে নিম্নপদে অবনমন, আরেকজন শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত এবং একজন কর্মকর্তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া শাস্তিপ্রাপ্ত আরও ৫৭ জন শিক্ষকের মধ্যে শিক্ষকদের মধ্যে ৬ জনকে বরখাস্ত, ১২ জনকে অপসারণ, ৮ জনকে নিম্নপদে অবনমন এবং ৩১ জনকে তিরস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮ জনকে বহিষ্কার, ৮ জনকে অপসারণ, ৭ জনকে তিরস্কার এবং ১ জনকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কর্মচারীদের মধ্যে ২ জনকে বরখাস্ত এবং ১৯ জনকে তিরস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ জনকে আজীবন বহিষ্কার এবং ২৪ জনের সনদপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত