, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

পার্বত্য উপদেষ্টার আদিবাসী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকায় পিসিসিপি’র মানববন্ধন।

  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • ৩৫ পড়া হয়েছে

 

পার্বত্য উপদেষ্টার আদিবাসী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকায় পিসিসিপি’র মানববন্ধ।
আমাদের ঠিকানা, ঢাকা প্রতিনিধি :

শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫

দুই উপদেষ্টার অসাদাচরণ মুলুক বক্তব্য যা পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের মনে শুধু ঘৃণা জন্মায়নি পুরো বাংলাদেশের মানুষের মনে ঘৃণা জন্মিয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি, ঢাকা মহানগর শাখার সিঃ সহ-সভাপতি দিদারুল আলমের সভাপতিত্ত্বে ও পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল হাসানের সঞ্চলনায় পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মো শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির আহ্বায়ক জনাব জিয়াবুল হক, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সভাপতি জনাব মো রাসেল মাহমুদ, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সিঃসহ-সভাপতি আল আমিন, এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি বান্দারবান জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পিসিসিপি লামা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ বলেন, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পাহাড়ি-বাঙালির আশাবাদ থাকলেও, কিছু উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত এই প্রত্যাশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

তিনি বলেন, ২৩ জুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া নতুন অধ্যাদেশে ৬ সদস্যের পরিচালনা কমিটিতে সবাইকে কেবলমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি থেকে মনোনয়নের বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধান বক্তা হিসেবে পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করে আসছে উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠি। এরা পাহাড়ের উন্নয়ন পর্যটন মূখি না করে জনশূন্য করে রাখতে চাচ্ছে। তারা শিল্প কারখানা হতে দিচ্ছে না, এতে করে পাহাড়ের হাজার হাজার শিক্ষিত যুবক বেকার হয়ে রয়েছে। গুচ্ছগ্রামে চল্লিশ হাজারের অধিক বাঙালিদের ৩ বছর থাকার কথা বলে আজ ৩৫ বছর ধরে তাদের অবহেলায় ও বঞ্চনার মধ্যে রাখা হয়েছে।
পিসিসিপি নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, পার্বত্য উপদেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আদিবাসী স্বীকৃতির গোপন পথ তৈরি করছে, অন্যদিকে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালি জনগোষ্ঠীকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বঞ্চনার মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী-র ভূমিকা নিয়েও পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য ও নীতিগত অবস্থান সংবিধানের ৬(২) অনুচ্ছেদের বিরোধী এবং গোষ্ঠীগত পক্ষপাতমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। বক্তারা অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয়ের ৯০% বাজেট বরাদ্দ একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিসমূহ নিম্নরূপ:
১. ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিল করতে হবে।
২. কেবলমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৬ জন সদস্য মনোনয়নের বিধান বাতিল করতে হবে।
৩. উপদেষ্টাদের বিতর্কিত ভূমিকায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট বণ্টনের বৈষম্যের নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক পুনর্বিন্যাস নিশ্চিত করতে হবে।

আমারদের ঠিকানা।

জনপ্রিয়

বিরামপুরে সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি গ্রেফতার।

পার্বত্য উপদেষ্টার আদিবাসী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকায় পিসিসিপি’র মানববন্ধন।

প্রকাশের সময় : ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

 

পার্বত্য উপদেষ্টার আদিবাসী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকায় পিসিসিপি’র মানববন্ধ।
আমাদের ঠিকানা, ঢাকা প্রতিনিধি :

শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫

দুই উপদেষ্টার অসাদাচরণ মুলুক বক্তব্য যা পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের মনে শুধু ঘৃণা জন্মায়নি পুরো বাংলাদেশের মানুষের মনে ঘৃণা জন্মিয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি, ঢাকা মহানগর শাখার সিঃ সহ-সভাপতি দিদারুল আলমের সভাপতিত্ত্বে ও পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল হাসানের সঞ্চলনায় পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মো শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির আহ্বায়ক জনাব জিয়াবুল হক, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সভাপতি জনাব মো রাসেল মাহমুদ, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সিঃসহ-সভাপতি আল আমিন, এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি বান্দারবান জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পিসিসিপি লামা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ বলেন, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পাহাড়ি-বাঙালির আশাবাদ থাকলেও, কিছু উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত এই প্রত্যাশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

তিনি বলেন, ২৩ জুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া নতুন অধ্যাদেশে ৬ সদস্যের পরিচালনা কমিটিতে সবাইকে কেবলমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি থেকে মনোনয়নের বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধান বক্তা হিসেবে পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করে আসছে উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠি। এরা পাহাড়ের উন্নয়ন পর্যটন মূখি না করে জনশূন্য করে রাখতে চাচ্ছে। তারা শিল্প কারখানা হতে দিচ্ছে না, এতে করে পাহাড়ের হাজার হাজার শিক্ষিত যুবক বেকার হয়ে রয়েছে। গুচ্ছগ্রামে চল্লিশ হাজারের অধিক বাঙালিদের ৩ বছর থাকার কথা বলে আজ ৩৫ বছর ধরে তাদের অবহেলায় ও বঞ্চনার মধ্যে রাখা হয়েছে।
পিসিসিপি নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, পার্বত্য উপদেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আদিবাসী স্বীকৃতির গোপন পথ তৈরি করছে, অন্যদিকে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালি জনগোষ্ঠীকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বঞ্চনার মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী-র ভূমিকা নিয়েও পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য ও নীতিগত অবস্থান সংবিধানের ৬(২) অনুচ্ছেদের বিরোধী এবং গোষ্ঠীগত পক্ষপাতমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। বক্তারা অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয়ের ৯০% বাজেট বরাদ্দ একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিসমূহ নিম্নরূপ:
১. ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিল করতে হবে।
২. কেবলমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৬ জন সদস্য মনোনয়নের বিধান বাতিল করতে হবে।
৩. উপদেষ্টাদের বিতর্কিত ভূমিকায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট বণ্টনের বৈষম্যের নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক পুনর্বিন্যাস নিশ্চিত করতে হবে।

আমারদের ঠিকানা।