
শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পার্কে ২ তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার পূর্ব বিল মামুদপুর গ্রামের ফয়সাল শেখ (২২), গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দরাপের ডাঙী গ্রামের রাকিব মোল্লা (২১) ও পূর্ব উজানচর গনি শেখের পাড়ার সজিব মোল্লা (২৪)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪ টার দিকে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকার কলেজ ছাত্রী (২০) তার প্রতিবেশী এক চাচাতো বোনকে (১৫) নিয়ে গোয়ালন্দের উজানচর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন গোধুলী পার্ক এলাকায় বেড়াতে আসেন। এ সময় সোহান নামের এক পরিচিত যুবক গোয়ালন্দ হতে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন।
সূত্র মতে, পার্কে ৩জন প্রবেশের কিছুক্ষণের মধ্যে ফয়সাল পার্কে প্রবেশ করে এবং অন্যরা আশপাশে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তারা ভুক্তভোগী নারী ও সোহানকে পার্কের পুকুরপাড়ের ফাঁকা স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
তারা পার্ক থেকে বেরিয়ে অটোরিকশায় করে ফরিদপুরের দিকে রওনা দিলে পথিমধ্যে ওই অভিযুক্তরা পুনরায় তাদের পথরোধ করে রাস্তার নিচে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।এ ঘটনার বিষয়ে কলেজ পড়ুয়া তরুণীর বাবা ও মামলার বাদী মুঠোফোনে জানান, ফয়সাল তার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করত। সে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি। এরপর থেকে সে আমার মেয়ের চরম সর্বনাশ করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। আমি এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
এ প্রসঙ্গে রাকিবুল ইসলাম জানান, ৩ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো গুরুতর এই অপরাধের সঙ্গে অন্য আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে