, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামিন পেয়েও হয়রানি এখন মিলবে অনলাইনে।

  • প্রকাশের সময় : ১১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৪ পড়া হয়েছে

কাজী জাহাঙ্গীর: চট্রগ্রাম।

মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫

সংস্কার শুধু জামিননামায় আনলে হবে না, জেলখানার (জেলগেট বিতর) এবং (জেলগেট বাহির) ও সংস্কার আনতে হবে। অন্যথায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্টায় দুর্নিতিই প্রধান অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত থেকে যাবে।

আসামী জামিন প্রাপ্ত হওয়ার পরে আসামীর জামিননামা জেলখানায় যাওয়ার পর আসামীকে মুক্তি না দিয়ে সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশাসনের তৎপরতা শুরু হয় নতুন কিংবা পুরাতন অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানোর যৌথ ফরোয়ার্ডিং বাণিজ্যের। জেল পুলিশ

কারারক্ষী থেকে শুরু করে গোয়েন্দা সংস্হা ডিএসবির ও সিটিএসবির। তবে সিটিএসবি তুলনামূলক ভাবে একটু কম। থেমে নেয় থানা পুলিশও। এই তিন,চার স্হরে মোটা অংঙ্কের টাকা না দিলে একজন রাজনৈতিক কর্মী কিংবা অরাজনৈতিক নিরপরাধ ব্যাক্তি আসামীকে জেলখানায় থাকা অবস্থায় ৪-টা, ৫-টা কিংবা ১০-টা নতুন কিংবা পুরাতন মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে দিয়ে অন্য মামলার ফরোয়ার্ডিং দিচ্ছে হয়রানি করছে। হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংঙ্কের টাকা। কিংবা আরো বেশি রাজনৈতিক মামলায় ফরোয়ার্ডিং দিয়ে গ্রেফতার দেখানোর ভয় দেখিয়ে আসামীর স্টেটাস বুঝে আসামীর আত্মীয় স্বজনের নিকট থেকে কন্টাক্টে ডাকদেয় ৩০,০০০/ হাজার, ৪০,০০০/ হাজার,

৫০,০০০/ হাজার টাকা কিংবা তৎউর্ধ আরো বেশি, ১-লক্ষ, ২-লক্ষ…টাকা। টাকা না দিলে জামিন প্রাপ্ত আসামীকে পূনঃরায় নতুন কিংবা পুরাতন রাজনৈতিক মামলায় ফরোয়ার্ডিং দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলখানায় আটকিয়ে রাখে।

প্রশাসনের এই দুর্নীতি চলতেছে ৫ আগস্ট এর অনেক পূর্ব থেকে এবং ৫ আগস্ট এর পরেও যাহা চলমান বিদ্যমান রয়েছে। বিচার প্রার্থী সর্বশান্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিচার প্রার্থীর প্রতি ন্যায় বিচারের নামে অবিচার না করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টায় আইনমন্ত্রানায় এর দায়িত্ব প্রাপ্ত জনাব ড. আসিফ নজরুল ও অন্তবর্তী সরকার এবং প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যে- সমূলে দূর্নীতির মূলোৎপাটন করতে – জামিননামা সংস্কার এর মূল অংশ হিসেবে জেলখানার (জেলগেট বিতর) এবং (জেলগেট বাহির) উভয় স্হানে জামিন প্রাপ্ত আসামীদেরকে প্রশাসন কতৃক নতুন কিংবা পুরাতন মামলার অন্তর্ভুক্ত করার ফরোয়াডিং বাণিজ্য বন্ধ করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

এডভোকেট এম. আনোয়ার হোসেন
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর,
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চট্টগ্রাম। 

আমাদের ঠিকানা

জনপ্রিয়

জামিন পেয়েও হয়রানি এখন মিলবে অনলাইনে।

প্রকাশের সময় : ১১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

কাজী জাহাঙ্গীর: চট্রগ্রাম।

মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫

সংস্কার শুধু জামিননামায় আনলে হবে না, জেলখানার (জেলগেট বিতর) এবং (জেলগেট বাহির) ও সংস্কার আনতে হবে। অন্যথায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্টায় দুর্নিতিই প্রধান অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত থেকে যাবে।

আসামী জামিন প্রাপ্ত হওয়ার পরে আসামীর জামিননামা জেলখানায় যাওয়ার পর আসামীকে মুক্তি না দিয়ে সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশাসনের তৎপরতা শুরু হয় নতুন কিংবা পুরাতন অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানোর যৌথ ফরোয়ার্ডিং বাণিজ্যের। জেল পুলিশ

কারারক্ষী থেকে শুরু করে গোয়েন্দা সংস্হা ডিএসবির ও সিটিএসবির। তবে সিটিএসবি তুলনামূলক ভাবে একটু কম। থেমে নেয় থানা পুলিশও। এই তিন,চার স্হরে মোটা অংঙ্কের টাকা না দিলে একজন রাজনৈতিক কর্মী কিংবা অরাজনৈতিক নিরপরাধ ব্যাক্তি আসামীকে জেলখানায় থাকা অবস্থায় ৪-টা, ৫-টা কিংবা ১০-টা নতুন কিংবা পুরাতন মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে দিয়ে অন্য মামলার ফরোয়ার্ডিং দিচ্ছে হয়রানি করছে। হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংঙ্কের টাকা। কিংবা আরো বেশি রাজনৈতিক মামলায় ফরোয়ার্ডিং দিয়ে গ্রেফতার দেখানোর ভয় দেখিয়ে আসামীর স্টেটাস বুঝে আসামীর আত্মীয় স্বজনের নিকট থেকে কন্টাক্টে ডাকদেয় ৩০,০০০/ হাজার, ৪০,০০০/ হাজার,

৫০,০০০/ হাজার টাকা কিংবা তৎউর্ধ আরো বেশি, ১-লক্ষ, ২-লক্ষ…টাকা। টাকা না দিলে জামিন প্রাপ্ত আসামীকে পূনঃরায় নতুন কিংবা পুরাতন রাজনৈতিক মামলায় ফরোয়ার্ডিং দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলখানায় আটকিয়ে রাখে।

প্রশাসনের এই দুর্নীতি চলতেছে ৫ আগস্ট এর অনেক পূর্ব থেকে এবং ৫ আগস্ট এর পরেও যাহা চলমান বিদ্যমান রয়েছে। বিচার প্রার্থী সর্বশান্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিচার প্রার্থীর প্রতি ন্যায় বিচারের নামে অবিচার না করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টায় আইনমন্ত্রানায় এর দায়িত্ব প্রাপ্ত জনাব ড. আসিফ নজরুল ও অন্তবর্তী সরকার এবং প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যে- সমূলে দূর্নীতির মূলোৎপাটন করতে – জামিননামা সংস্কার এর মূল অংশ হিসেবে জেলখানার (জেলগেট বিতর) এবং (জেলগেট বাহির) উভয় স্হানে জামিন প্রাপ্ত আসামীদেরকে প্রশাসন কতৃক নতুন কিংবা পুরাতন মামলার অন্তর্ভুক্ত করার ফরোয়াডিং বাণিজ্য বন্ধ করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

এডভোকেট এম. আনোয়ার হোসেন
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর,
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চট্টগ্রাম। 

আমাদের ঠিকানা